ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমপি রানার জামিন আবেদন খারিজ

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোবাবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি বোরহান উদ্দীন ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রুল খারিজ করে দিয়েছেন।

পাশাপাশি ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন। এছাড়াও বিচারকি আদালতে মামলার বিচারকাজের প্রত্যেক দিনেই রানাকে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য রোববার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়।

আদালতে সংসদ সদস্য রানার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।

আগে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল জামিন মেলে এমপি রানার। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ'র হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ০৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে একই দিন শুনানির দিন ধার্য করেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত।  

এর আগে ১৬ এপ্রিল তিনদিনের জন্য জামিন স্থগিত করে ১৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। পরে গত ৮ মে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আবেদনটির শুনানি চারমাসের জন্য মুলতবি ও ছয়মাসের মধ্যে এ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এরপর আপিল  বিভাগে কয়েকদফা জামিন স্থগিত নিয়ে শুনানি মুলতবি করা হয়। গত ১৯ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ জামিনের এ স্থগিতাদেশ চলমান রেখে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এমপি রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

বর্তমানে তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। পরে আবারও জামিনের আবেদন জানালে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।  এরপর ০৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/ ১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।