ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পুলিশের এসিসহ ১৪ জনকে অব্যাহতিতে বাদীর আপত্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
পুলিশের এসিসহ ১৪ জনকে অব্যাহতিতে বাদীর আপত্তি

ঢাকা: চাঁদাবাজির মামলায় রাজধানীর ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলামসহ ১৪ জনকে অব্যাহতির আবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদী শাহনা আক্তার।

রোববার (২৬ নভেম্বর) আসামিদের অব্যাহতির বিরুদ্ধে বাদী আপত্তি দিলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম আগামী ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

ঘটনাটি তদন্ত করে গত ১৬ নভেম্বর পুলিশের ওয়ারি জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফরিদ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এর আগে গত ১২ ‍জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সে সময় আদালত ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশের ওয়ারি জোনের ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছিলো- পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি ইফতেখারুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষ্মীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, সহাকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমনকে।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ খান পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। তিনি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের বিভিন্ন অপকর্মের ফিরিস্তি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছে মে-জুন মাসে পৃথক তিনটি দরখাস্ত পাঠান।  

বাদী আরো উল্লেখ করেন, দরখাস্তের কথা জানতে পেরে আসামিরা ফরমানকে ফাঁদে ফেলার কৌশল খুঁজতে থাকে। গত ২১ জুন আসামিরা আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেয়। স্বামীকে ছেড়ে দিতে বললে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে পুলিশ। তাদের দাবি অনুযায়ী ২ লাখ টাকাও দেওয়া হয়।  

গত ২২ জুন বাদী শাহনা আক্তার থানায় তার স্বামীর খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন চিকিৎসার জন্য ফরমান উল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করা হয়।

পুলিশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার বিচার চেয়ে তিনি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

তবে পুলিশের ডিসি (প্রসিকিউশন) আনিসুর রহমান বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী। মামলা থেকে বাঁচতেই আসামি তার স্ত্রীকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।