মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে ২৩ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
মামলায় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ (পলাতক), প্রাণরসায়ন ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু, পরিসংখ্যান বিভাগের মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকিরা পলাতক। অপরদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে শুধু অরূপ পলাতক রয়েছেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদকে কুপিয়ে জখম করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন ভোরে জুবায়ের মারা যান। জুবায়েরের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মদিনাবাগ নাবলাপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম তোফায়েল আহমেদ, মায়ের নাম হাসিনা আহমেদ।
এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান বাদী হয়ে খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, রাশেদুল ইসলাম ও খান মো. রইসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
ইএস/এএ