সদস্যপদ স্থগিত হওয়া দুই শিক্ষকের করা রিট খারিজ করে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং ড. দুলাল চন্দ নন্দী।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে মোতাহার হোসেন সাজু বাংলানিউজকে বলেন, সমিতির সদস্যপদ স্থগিত হওয়া দুই শিক্ষক ভোটাধিকার চেয়ে এবং নির্বাচন স্থগিত করতে রিট করেন। মঙ্গলবার আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এখন ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।
শিক্ষকদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বন্যাদূর্গতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ প্রচেষ্টার অভিযোগে ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. দুলাল চন্দ নন্দীর সদস্যপদ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাব থেকে বন্যার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কথা বলে ২০ সেপ্টেম্বর কোনো বাহকের নাম উল্লেখ না করে ৮০ হাজার ৭১ টাকার একটি চেকে স্বাক্ষর করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ এবং অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক কামাল উদ্দিন। নভেম্বরে এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
আদালতের আদেশ শোনার পর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আবু তাহের বলেন, তারা অন্যায় করেছেন। মঙ্গলবার হাইকোর্টের খারিজাদেশে এটা প্রমাণিত হলো যে তারা দুর্নীতি করেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে এটা প্রমাণিত যে শিক্ষক সমিতি সঠিক পথেই রয়েছে।
রিট আবেদনকারী শিক্ষকদের একজন ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের আইনজীবী বলেছেন, যেহেতু নির্বাচন সন্নিকটে, আপনাদের আরও আগে আসা উচিত ছিল। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো নিজেরা বসে সমাধান করা ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
ইএস/এসআই