ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আধুনিক মেডিকেলের ৫৭ শিক্ষার্থীর কার্যক্রম এক মাস বিরতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
আধুনিক মেডিকেলের ৫৭ শিক্ষার্থীর কার্যক্রম এক মাস বিরতি

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ কোটায় ভর্তিকৃত ৫৭ শিক্ষার্থীকে এক মাসের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর বাবার করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

‘আগে এলে আগে ভর্তির সুযোগ’- পদ্ধতিতে এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

 

রুলে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করে ৫৭ শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।   

দশ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ ও আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
 
১৭ ডিসেম্বর ‘উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে মেধাতালিকাকে উপেক্ষা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া তারিকুলের বাবা নজরুল ইসলাম গত ০২ জানুয়ারি আধুনিক মেডিকেল কলেজের ভর্তি পদ্ধতি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
 
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ ও মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
 
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তি না করায় এক অভিভাবকের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া ৫৭ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এক মাসের জন্য বিরত রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরে আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ বলেন, এ কলেজে মোট আসন ৯০টি। এর মধ্যে বিভিন্ন কোটায় ১৮টি। আর সাধারণ কোটায় ৭২টি আসন।
 
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সাধারণ কোটার এ ৭২টি আসনে ১৫টি আসনে ভর্তি হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। বাকি ৫৭টি আসনে ভর্তির জন্য ১৪ ডিসেম্বর মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি না করে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে আরেকটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় কলেজ প্রশাসন।
 
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের আসার জন্য বলা হয়।
 
কিন্তু তারিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার পর কলেজে গিয়ে জানতে পারেন ১১টার মধ্যেই ৫৭ আসনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। ২৬১ ক্রমিকের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তারিকুলের দাবি মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি নেওয়া হলে সে ওই কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতো। তাই তার বাবা রিট করেন।  

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আগে এলে আগে ভর্তির’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, গত বছর আমরা মেধাতালিকা অনুযায়ী ডেকেও শিক্ষার্থী পাইনি। তাই আমরা এবার এ পদক্ষেপ নিয়েছি’।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।