আদেশে আপিল বিভাগ ওই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি মেধা তালিকায় থাকা বঞ্চিত শিক্ষার্থীকে সাত দিনের মধ্যে ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আধুনিক মেডিকেল কলেজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। যে রিটের কারণে হাইকোর্ট ৫৭ শিক্ষার্থীকে কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার পক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ।
পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, আদালত হাইকোর্টের রুলসহ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। ফলে ৫৭ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে বঞ্চিত শিক্ষার্থীকে সাত দিনের মধ্যে ভর্তি করাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি ৫৭ শিক্ষার্থীর কার্যক্রমে বিরতি দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
‘আগে এলে আগে ভর্তির সুযোগ’- পদ্ধতিতে ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ‘উত্তরা মেডিকেলে ভর্তিতে মেধাতালিকাকে উপেক্ষা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া তারিকুলের বাবা নজরুল ইসলাম গত ২ জানুয়ারি আধুনিক মেডিকেল কলেজের ভর্তি পদ্ধতি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তি না করায় এক অভিভাবকের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ‘আগে আসলে আগে ভর্তির সুযোগ’ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া ৫৭ শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে এক মাসের জন্য বিরত রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে আইনজীবী রেজিনা মাহমুদ বলেন, এ কলেজে মোট আসন ৯০টি। এর মধ্যে বিভিন্ন কোটায় ১৮টি। আর সাধারণ কোটায় ৭২টি আসন।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সাধারণ কোটার এ ৭২টি আসনে ১৫টি আসনে ভর্তি হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। বাকি ৫৭টি আসনে ভর্তির জন্য ১৪ ডিসেম্বর মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি না করে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে আরেকটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় মেডিকেল কলেজ প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের আসার জন্য বলা হয়।
কিন্তু তারিকুল ইসলাম ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার পর কলেজে গিয়ে জানতে পারেন ১১টার মধ্যেই ৫৭ আসনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। ২৬১ ক্রমিকের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তারিকুলের দাবি, মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি নেওয়া হলে সে ওই কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতো। তাই তার বাবা রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ইএস/এইচএ/