ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফের হাইকোর্টে হাজির হতে হবে বুয়েটের তিন শিক্ষককে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
ফের হাইকোর্টে হাজির হতে হবে বুয়েটের তিন শিক্ষককে

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও এক ছাত্রের শারীরিক হামলার বিষয়ে করা অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তিন সদস্য আদালতের তলবে হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছেন। কিন্তু অব্যাহতি না দেওয়ায় ৩১ জানুয়ারি ফের তাদের হাজির হতে হবে।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
 
তিন শিক্ষক হলেন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. কামরুল আহসান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কমিটির সদস্য ড. মো. মাকসুদ হেলালী এবং পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রওশন মমতাজ।


 
২০১৫ সালে র‌্যাগিংয়ে ইভটিজিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তিন ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারও পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিষয়ক একটি শাস্তি দেয়।
 
এর বিরুদ্ধে ওই সময়ে তিন ছাত্রী হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন।
 
আলতাফ হোসেন জানান, র‌্যাগিংয়ের সময় ওই তিন ছাত্রী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত-কমিটিও গঠন করে। ওই কমিটি একই বছরের ৩ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এদিকে তারা বিভিন্ন চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেও ২৭ জুলাই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। ফলে শাস্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে ওই বছরের আগস্টেই হাইকোর্ট তাদের শাস্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন।  
 
সেই রুলের শুনানি শেষে ১৮ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বুয়েটের আইনজীবীর উপস্থাপিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় সত্যতা মেলে। এ কারণে প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির তিন সদস্যকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

সেই আদেশ অনুসারে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) শিক্ষকরা হাজির হন হাইকোর্টে। তিন শিক্ষককে হাইকোর্ট বলেছেন, ধর্ষণের শিকার হলেও নারীরা তা বলতে বা প্রকাশ করতে চান না। সেখানে তিন ছাত্রী ইভটিজিং-এর অভিযোগ করলো। অথচ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উল্টো তাদেরই দোষারোপ করলেন। এটা ঠিক হয়নি।

আদালতে তিন শিক্ষকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক। বুয়েটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সৌরভ কর্মকার।

আদালত শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, কোন বিবেচনায় আপনারা অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকে দোষারোপ করলেন? তাদের তো (তিন ছাত্রী) ভবিষ্যত আছে। সামাজিক অবস্থা আপনারা বিবেচনা করলেন না।  
  
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।