বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজবাড়ীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জামিননামা জমা দেন। এর আগে ৭ জানুয়ারি পৃথক তিন মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ খালেক বাংলানিউজকে বলেন, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে তিনটি মামলাসহ একই অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রাজবাড়ীর তিনটিসহ ১০টি মামলার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাকে আগাম জামিন দেন। পাশাপাশি আট সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জামিননামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে মাহমুদুর রহমান রাজবাড়ী আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা জমা দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান। এ বক্তব্য রাজবাড়ীর তিন আওয়ামী লীগ নেতার দৃষ্টিগোচর হলে ১৯ ডিসেম্বর তারা মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আমলি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও ১০০ কোটি টাকা করে মানহানির পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদীরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
টিএ