এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মারুফা আক্তার শিউলী।
পলাতক আসামি বুলবুলের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন হাসনা বেগম।
লাকীর স্বামী রফিকুল ইসলাম বিচারের শুরু থেকেই পলাতক। তিনি সিঙ্গাপুরে থাকেন বলে জানা গেছে।
আইনজীবীরা জানান, কামরুন্নাহার লাকী ১৯৯৮ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। দেশে মরদেহ আনার পর ১৯ নভেম্বর বগুড়া থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। কিন্তু ১৯৯৯ সালের ২৬ আগস্ট বুলবুলের বিরুদ্ধে বগুড়া থানায় হত্যা মামলা করেন লাকীর মা জহুরা হায়দার।
ওই মামলায় বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই বুলবুলের সঙ্গে লাকীর বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য লাকীকে নির্যাতন করা হতো। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তাকে ১২তলা ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল একমাত্র আসামি বুলবুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর রাজশাহীর আদালত মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠায়।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের জানান, লাকী মারা যাবার পরপরই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ও পরে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। তাদের ওই প্রতিবেদন ইন্টারপোলের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আত্মহত্যা বলে প্রতীয়মান হয়। হাইকোর্ট সিঙ্গাপুর পুলিশের ওই তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্বাস করেছেন। এ কারণে আসামিকে খালাস দিয়েছেন। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
ইএস/এমএ