একই সঙ্গে মামলার দুই সাক্ষী জহির ও সাহেব আলীর শরীরে গুলির স্প্লিন্টার আছে কি না তা মেডিকেল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে শাহজাদপুর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ আদেশ দেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের মধ্যে শাহজাদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাসির উদ্দিন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সাহু, উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শেখ কাজল, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের ব্যক্তিগত সহকারী যুবলীগ নেতা আশিকুল হক দিনার, ভাগ্নে মিঠু ও ভিপি আব্দুর রহিমের শ্যালক মাসুদ রয়েছেন।
এদের মধ্যে ১০ জন বিস্ফোরক মামলায় ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক সরকার জানান, গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সমকালের সাংবাদিক শিমুল হত্যার ঘটনার সময় সেই সময়ের মেয়র মিরুর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরুর স্ত্রী লুৎফুন নেছা পেয়ারীর দায়ের করা মামলার ১৯ আসামির মধ্যে মঙ্গলবার ১৫ আসামির আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাকি চারজনের বিরুদ্ধে একই আদালত এর আগেই পরোয়ানা জারি করেছেন। বিচারক একই সঙ্গে হামলার সময় গুলিবিদ্ধ জহির ও শাহেব আলীর দেহে গুলির স্প্লিন্টার আছে কি না তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমকালের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খাতুন বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
একই সময় মেয়রের বাড়িতে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় মেয়রের স্ত্রী লুৎফুন নেছা পিয়ারী বাদি হয়ে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা মামলা না নেওয়ায় তিনি পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ১৯ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এসআই