সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতিকে শুভেচ্ছা জানাতে তার খাস কামরায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন সাংবাদিকরা।
সাক্ষাতের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিকরা এসেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাবেক সভাপতি এম বদি-উজ-জামান, সহ-সভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু, যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আহমেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান, আবদুল জাব্বার খান, মো. আফজাল হোসেন ও মেহেদী হাসান ডালিমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সাক্ষাৎ শেষে আশুতোষ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকতায় নারীদের বেশি অংশগ্রহণকে ভালো দিক বলে উল্লেখ করেছেন। আমরা বিচার বিভাগের তথ্য সহজে পেতে প্রধান বিচারপতির ইতিবাচক দৃষ্টি কামনা করেছি। তিনি এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
প্রধান বিচারপতি আইনজীবী থাকার সময় দৈনিক সংবাদে সাংবাদিকতা করেছেন।
গত ০২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন।
বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দুটি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ