মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন। এছাড়া ওই চার আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অপর একটি ধারায় ১০ বছর করে সশ্রম কারদন্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদীর মনোহরদী থানার কালিয়াকুড়ি এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগুটিয়া চালাবাজার এলাকার আব্দুল গণি ওরফে সুরুজের ছেলে শওকত (২৮), একই জেলার শ্রীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মিজান (২৯) ও নেত্রকানার পূর্বধলা থানার বাঘবেড় গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহীন মিয়া (২৯)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিদের মধ্যে তিনজন উপস্থিত থাকলেও শওকত পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুরের মাঠখোলা খাসপাড়া এলাকার বন থেকে ঘাড়কাটা সিএনজি আটোরিকশা মালিক খোকা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে অটোরিকশাটিকে বনের মধ্যে নিয়ে মালিক খোকা মিয়াকে হত্যা করে এবং চালক জসিম উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়।
পরে শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ছালাম বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শহিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে ওই মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারক এ রায় দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি মাইকেল সংমার শিশির সংমা ও খোরশেদকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিজ উদ্দিন আহম্মদ ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুমিন খান ও মোসা. নাসরিন আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮/আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা
আরএস/ওএইচ/