ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিএনসিসি উপ নির্বাচন নিয়ে আপিলে শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
ডিএনসিসি উপ নির্বাচন নিয়ে আপিলে শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও ১৮টি নতুন ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি নতুন ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের আবেদনের উপর শুনানি দু্ই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। 

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল।

সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।  

রিট আবেদনকারী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।  

পরে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রিট আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিন রেখেছেন।
 
আরও পড়ুন>>
** 
ডিএনসিসি নির্বাচন নিয়ে আপিলের শুনানি ৮ ফেব্রুয়ারি

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।  

গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।

এ তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।  

এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের উপর সকল কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।  

এছাড়া স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলেন আদালত।
 
তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর, নাকি পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।