এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই খালের বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, দোয়ানিয়া খালে মাটি ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, খালে নির্মাণাধীন বাঁধ অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সিএস, আরএস অনুসারে খালটি সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ ও বন, পানি সম্পদ, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহারিচালক, পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), খুলনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সিএস অনুসারে দোয়ানিয়া খালের সীমানা জরিপ করে এবং দখলদারদের তালিকা তৈরি করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট। খুলনা জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
ইএস/এসএইচ