এ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস।
২০১৫ সালের ৩০ মার্চ এ মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন হলেন- মিরপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত, মো. মিন্টু, মো. মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান, মো. নোমান ইবনে বাশার ওরফে বাবু, মাহমুদুর রহমান সোহেল ও মো. হাসান সারওয়ার জিকু।
তবে হাইকো্র্ট ৫ জনের দণ্ড বহাল রেখে মাসুদুর রহমান সোহেল ও মো. হাসান সারওয়ার জিকুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া জাহানারারও দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রায়ের পরে বশির আহমেদ বলেন, ‘রায়ে আদালত বলেছেন, মো. মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়, গুলি করেছিল। আর শাহাদাত, মো. মিন্টু এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। এ দুজনই এক কোটি টাকা চেয়েছিল মনির উদ্দিন মনুর কাছে। এই টাকা না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। ’
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে সোহেল ও জিকুর সহযোগিতা থাকলেও তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়নি। সে বিবেচনায় তাদের মুত্যুদণ্ডাদেশ থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্ট সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহ আলী বাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে খুন হন ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনির উদ্দিন মনু।
আসামিরা মনুকে পরপর আটটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের দিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শাহাদাত ও মিন্টু মিরপুর এলাকার ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
এই মামলায় সোহেল,জিকু,লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮/আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা
ইএস/এমএ