ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মৌলভীবাজারের ১৯টি সিলিকা বালু মহালের লিজ অবৈধ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৮
মৌলভীবাজারের ১৯টি সিলিকা বালু মহালের লিজ অবৈধ 

ঢাকা: মৌলভীবাজার জেলার ছয় উপজেলায় চিহ্নিত ৫১টি সিলিকা বালু মহালের মধ্যে থেকে লিজ দেওয়া ১৯ সিলিকা বালুমহালের লীজ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি  সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) এ  রায় দেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রিট আবেদনকারী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ ব্যতীত কোনো সিলিকা বালু মহালসমূহকে লিজ প্রদান করা যাবে না মর্মেও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

জেলার ৫১টি পাহাড়ি ছড়া সিলিকাবালু সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ২০১৩ সালে ১৮ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।  

এর মধ্যে ১৯টি-কে অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা দেওয়ার  আগে কোনো পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) করা হয়নি এবং ইজারা গ্রহীতা কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইসিসি) জমা দেননি।

খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর বিধান মতে, সিলিকাবালু একটি খনিজ সম্পদ এবং কোন খনিজ সম্পদ উত্তোলন বা আহরণের পূর্বে পরিবেশ সংরক্ষণের বিধি বিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুযায়ী এটি লাল শ্রেণিভুক্ত বিধায় লিজ দেওয়ার আগে এর ছাড়পত্র গ্রহণ ও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ বাধ্যতামূলক।  

‘কিন্তু, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সিলিকাবালু সমৃদ্ধ ওই এলাকাকে ইজারা দেয়। ইজারাগ্রহীতাদের অনিয়ন্ত্রিত ও বেআইনি বালু উত্তোলনের ফলে মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও বড়লেখা সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহের পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিপর্যয় ঘটে। ’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে বেলা জনস্বার্থে মামলা দায়েরের পর ২০১৬ সালের ২১ মার্চ হাইকোর্ট ১৯টি বালু মহালকে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ (ইআইএ) ও পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইসিসি) ছাড়া পরবর্তী ইজারা দিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সেই সঙ্গে ইজারাভুক্ত ছড়াসমূহ থেকে সব ধরনের ড্রিল, ড্রেজার, বোমা মেশিন এবং বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত যান্ত্রিক মেশিন অবিলম্বে জব্দ করতে নির্দেশনা দেন আদালত।  

বেলা’র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।