ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘মশাল’ নিয়ে রিট খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৮
‘মশাল’ নিয়ে রিট খারিজ

ঢাকা: হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ‘মশাল’ প্রতীক বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে হাসানুল হক ইনুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
 
পরে আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান বলেন, আবেদনকারীদের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশকে ‘মশাল’ প্রতীক বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই বহাল রইলো।
 
২০১৬ সালের ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনে কমিটি গঠনের সময় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দুই ভাগ হয় জাসদ।
 
এক অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার। অপর অংশে রয়েছেন মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান। দু’পক্ষই আলাদা কমিটি ঘোষণা দেন।  
 
পরে দু’পক্ষই নিজেদের দলীয় প্রতীক মশালের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। গত ৬ এপ্রিল আলাদাভাবে দু’পক্ষের শুনানি করে ইসি। এরপর ওই বছরের ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইনু-শিরীনের কমিটিকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেয়।
 
ইসির সিদ্ধান্ত সম্বলিত চিঠি পাঠান সহকারী সচিব রৌশন আরা।

ইনুর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১১-১২ মার্চ দলের জাতীয় সম্মেলনে গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি গঠন করায় ইনুকে সভাপতি ও কার্যকরী কমিটির তালিকা ইসির কাছে পাঠানোয় তাদের মশাল প্রতীক বহাল রাখা হলো। ’
 
অপরদিকে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘বাদল-আম্বিয়া-প্রধানের কমিটি গঠনতন্ত্র অনুসারে না হওয়ায় ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি দাখিল না করায় এ বিষয়ে ইসির করণীয় কিছু নেই। ’
 
এরপর ইনু ও শিরীনের নেতৃত্বাধীন অংশকে ‘মশাল’ প্রতীক দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাসদের অংশটি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রিভিউ বিষয়ে কোনো সিন্ধান্ত না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হক প্রধান।

ওই বছরের ২২ জুন হাইকোর্ট ওই রিভিউ আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশ দেন। ওই বছরের ১০ আগস্ট ওই রিভিউ নামঞ্জুর করে আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন ইসি ।

এ অবস্থায় ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল ও ১০ মে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শরীফ নূরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান রিটটি করেন। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার ওই রুল খারিজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।