ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‌'স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি'

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
‌'স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি' অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আইন ও বিচার বিভাগের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

শনিবার (০১ সেপ্টেম্বর) প্রথিতযশা আইনজীবী ও সমাজসেবী রফিক-উল হককে খান বাহাদুর স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।  

ঢাকা আহসানিয়া মিশন খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ স্বর্ণপদক ২০১৭ প্রদান উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ব্যারিস্টার রফিক-উল হকসহ এ দেশের জ্ঞানতাপস ও বর্ণাঢ্য আইনজ্ঞদের কাছে নিবেদন করব, তারা যেন আমাদের প্রতিবেশী দেশের আদলে অন্তত একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা আইন শিক্ষার গুণগত মান ও গবেষণার ভিত্তিকে আরও সমৃদ্ধ করবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা আইনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করবে, তাদের কাছে তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে আমার বিশ্বাস। ’

আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এইচ খান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রফিক-উল হককে স্বর্ণপদক পরিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমাদের দেশে ব্যক্তির জীবদ্দশায় সম্মানিত করার দৃষ্টান্ত খূব বেশি চোখে পড়ে না। ঢাকা আহছানিয়া মিশন সেক্ষেত্রে প্রশংসার দাবিদার। এ বছর খানবাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক-২০১৭ পদকে ভূষিত করা হয়েছে বিশিষ্ট সমাজসেবী ও স্বনামধন্য প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে। এ জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুধু একজন আইনজীবীই নন, তিনি একজন সমাজ সেবক ও সংস্কারক। তার কর্মদক্ষতা সর্বজনবিদিত; তার পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা সর্বমহলে সমাদৃত। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, ‘দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি যে, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষা, বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে আদালতে মূল্যবান মতামত দিয়ছেন। তার দেওয়া মতামত বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নেও তিনি অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছেন। আইনজীবী হিসেবে সততা, নিষ্ঠা ও সমতার পরিচয় দিয়েছেন। আইন বিষয়ে তিনি গভীর পান্ডিত্যের অধিকারী। তিনি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে তিনি সবসময় অবিচল থেকেছেন। ’  

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তিনি নিজের উপার্জিত অর্থের অধিকাংশ ব্যয় করেছেন সমাজ সেবায় এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, এতিমখানা ও মসজিদ। বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, নূরজাহান ওয়ার্ড, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল এবং আদ দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য ভূমিকা রয়েছে। ’

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রফিক-উল হককে ক্রেস্ট ও দুই লাখ টাকার চেক ও বই তুলে দেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম।  

এ সময় অন্যদের মধ্যে আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম খলিলুর রহমান, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর কাজী শরিফুল আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
ইএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।