মঙ্গলবার (০৯) নতুন নিয়োগ পাওয়া আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি শপথের পর বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আদালতে বসেন। এরপর তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তিন বিচারকপতির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরে সংবর্ধনা দেন। একইসঙ্গে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন তিন বিচারপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধনার জবাবে তিন বিচারপতি আলাদা আলাদা বক্তব্য রাখেন।
বিচারপতি জিনাত আরা
বিচারপতি জিনাত আরা আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া দ্বিতীয় নারী বিচারপতি। এর আগে প্রথম নারী বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। বিচারপতি জিনাত আরা বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৮ সালে মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে নিয়োগ পান। ১৯৯৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ হন।
পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পরে তিনি স্থায়ী হন ।
বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী
বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ২৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৯ সালে কুষ্টিয়া বারে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
পরের বছর ১৯৮০ সালের ২৩ এপ্রিল মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগের নিয়োগ পান। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী নিয়োগ পান।
বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীর ছোট ভাই বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮১ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান। এছাড়াও তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান একাত্তরে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত এবং ১৯৮৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগে অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর স্থায়ী হন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
ইএস/এসএইচ