দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার (১৪ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, ১২ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়েছিল। যারা রাজউক থেকে বরাদ্দ নিয়ে ওইখানে ব্যবসা করেন। রাজউক ভাড়া-পজেশন বাবদ এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সমুদয় অর্থ নিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের রিটে আমাদের (ব্যবসায়ীদের) পক্ষভুক্ত করা হয়নি। পরে যখন আদেশটি জানতে পারলাম, তখন রাজউকের অ্যালটমেন্ট অর্ডার ও ভাড়ার কাগজপত্র দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে লিভ টু আপিল করেছি।
তিনি বলেন, অনুমতির পর এর আগে চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দিয়েছিল। সেটিই কন্টিনিউ করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে জারি করা রুলটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ সাতদিনের মধ্যে অপসারণের রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
ওইদিন আদেশের পরে মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, লে-আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চললেও রাজউক নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন ১ আগস্ট একটি মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়।
এ রিটের শুনানির পর রুল জারি করে সাতদিনের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রুলে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এবং লে-আউট প্ল্যান অনুসারে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে রক্ষা করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদেশে আদালত রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রজেক্ট পরিচালককে প্রজেক্ট এলাকায় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেন কেউ লে-আউট প্ল্যান বর্হিভূত স্থাপনা করতে না পারে।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাতিরঝিলে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসাকারী আবু বকর মিয়াসহ ১২ জন আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ