মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক শফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার আসামি মুনিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিমের বাবা আল আমিন বালি জাহাজে চাকরি করতেন। মিমের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন তার মা জোসনা আক্তার লিজার মৃত্যু হয়। পরে বালি মুনিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই মুনিয়া মিমকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। মিম চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মুনিয়া তাকে গালিগালাজ ও মারধর করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর মিম কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হলে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মুনিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী হাওলাদার।
মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/