জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনিটরিং সেলের প্রধান ও সদস্য সচিবকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রুলে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে সরকারের গঠিত মনিটরিং সেলের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সসপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি ও সম্পাদক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনিটরিং সেলের সভাপতি ও সদস্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
পরে বাংলানিউজকে আইনজীবী হালিম বলেন, দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড (ব্লাস্ট) এ রিট আবেদন দায়ের করে।
রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দেশের সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে চিকৎসকদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির তালিকা করে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা আকারে দাখিল করতে রুলসহ নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ২০১৯ সালের ৭ মে পরবর্তী শুনানির জন্য দিনও রেখেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ