বুধবার (২৪ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনজন হলেন- সুপ্রিম কোর্টের কমিশনার অব এফিডেভিট মো. রবিউল করিম মো. নিজাম উদ্দিন ও এমএলএসএস জেসমিন আক্তার।
সাইফুর রহমান বলেন, ‘কমিশনার অব এফিডেভিট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণসহ দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ও ওই শাখায় রক্ষিত সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে বুধবার আনুমানিক ১১টার দিকে রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীসহ কোর্টের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনার অব এফিডেভিট শাখায় পরিদর্শন করেন। ’
‘এ সময় কমিশনার অব এফিডেভিট মো. রবিউল করিমের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৯৫ টাকা, মো. নিজাম উদ্দিন এর বাম পকেট হতে খুচরা ২০৫ টাকা এবং ড্রয়ার থেকে অগোছালো ২ হাজার ৩৩৫ টাকা ও এমএলএসএস জেসমিন আক্তারের পার্স থেকে খুচরা ১ হাজার ৭৫ টাকা জব্দ করা হয় এবং সে অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ’
তিনি বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই টাকা অবৈধ লেনদেন তথা ঘুষের মাধ্যমে পেয়েছেন মর্মে স্বীকারও করেন। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ দুর্নীতি, অসদাচরণ ও অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী, যা গুরুতর অপরাধের সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ’
‘তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে অভিযোগ বিবরণী, অভিযোগনামা ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রস্তুত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি তাতে অনুমোদন দিলে রেজিস্ট্রার জেনারেল তাদের সাময়িক বরখাস্তের অফিস আদেশ কার্যকর করেন,’ যোগ করেন হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
ইএস/এমএ