সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর খুরশীদ আলম এ কথা জানান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা নিয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।
আদেশের পর জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় রায়ের দিন ঠিক করেও পরবর্তীতে আদালত স্ব-ইচ্ছায় সে তারিখ পরিবর্তন করেন। এখন আদালত রায় দেবেন কি দেবেন না, এ মুহূর্তে সেটা বলার এখতিয়ার আমাদের নেই। ’
রায়ের পুনর্বিবেচনাতে আবেদন করবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘সিনিয়রদের সঙ্গে বসে আলোচনা করবো। আমরা মনে করি এটা রিভিউ করা দরকার। ’
বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলছিল। নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ওই মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫ বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশে দেন। এর বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া। যেটি ১৪ অক্টোবর খারিজ হয়ে যায়।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর (সোমবার) দিন ঠিক করেছিলেন। খালেদার লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় খুরশীদ আলম খানের ভাষ্যে, সোমবারই বিচারিক আদালতে রায় হতে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
ইএস/এইচএ/
** ‘সোমবার রায় হবে না কিনা বলার এখতিয়ার নেই’