তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৫ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ লুট করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো শীর্ষ পদে থেকে এ টাকা আত্মসাৎ চরম অন্যায়।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) মামলার রায় ঘোষণার পর পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫ এর সামনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আদালত ১৫টি পয়েন্টের আলোকে সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রমাণিত হওয়ায় ১০৯ ধারার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ সাজা ৭ বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সাজা দিয়েছেন। এ রায়ের ফলে আইনের শাসন নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদার আইনজীবীরা আদালতে না এসে আদালত অবমাননা করেছেন। তারা আইনের সব সুবিধা ভোগ করেছেন। তাদের উচিত ছিল আদালতে হাজির হওয়া।
আইন অনুযায়ী আজ থেকেই রায় কার্যকর হবে। পূর্বে যতদিন জেল খেটেছেন সেটাও কাউন্ট হবে, একটা ট্রাস্টের ঠিকানা কখনই ব্যক্তিগত ঠিকানা হতে পারে না। খালেদা জিয়া উনার বেয়াইন সুরাইয়াকে বেআইনিভাবে টাকা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় পদে থেকে এটা কখনই কাম্য নয়।
এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫। ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এজেডএস/পিএম/টিএম/এইচএমএস/আরএ/এসএইচ