এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভুইয়া।
আদেশের পরে এ তথ্য জানান একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, এ রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রক্তে থ্যালাসেমিয়া বা মাদকের অস্তিত্ব আছে কিনা, বিয়ের আগে তার পরীক্ষা এবং চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন এক আইনজীবী।
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকালঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এছাড়া দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যাও কম নয়। তার মধ্যে তরুণদের সংখ্যা বেশি। বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যৎ সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ইএস/এএ