তার স্ত্রীর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
পরে মাসুদ রানা জানান, একটি রিটে রংপুর আদালতে হাজির করার সময় মইনুল হোসেনের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ভবিষ্যতে আদালতে নিতে মইনুল হোসেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, মর্মে রুল ও নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
অপর রিটে মইনুল হোসেনকে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, মর্মে রুল ও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মাসুদ রানা আরও বলেন, শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সময় নিয়েছেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছেন রোববার মইনুল হোসেনের বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানাতে। রোববার শুনানির জন্য আদালত দিনও নির্ধারণ করেছেন।
১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি একাত্তর টেলিভিশনের টকশো-তে আলোচকদের একজন ছিলেন মাসুদা ভাট্টি। সেই টকশোতে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বিরূপ মন্তব্য করেন।
এর জের ধরে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মাসুদা ভাট্টি নিজে মানহানির একটি মামলা করেন। একইসঙ্গে সারাদেশে আরো কয়েকটি মামলা হয়।
২২ অক্টোবর সোমবার রংপুর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মিলি মায়া বেগম নামে এক নারী মানহানির মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
ওইদিন রাতে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ওই মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ০৩ নভেম্বর মইনুল হোসেনকে রংপুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ