রোববার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রুল খারিজ হয় ও স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার রায় হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ ও নিম্ন আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলা নিম্ন আদালতে চলতে আর কোনো বাধা রইলো না।
সৈয়দ গালিব আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও সৈয়দ তানভীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
এর আগে ১১ নভেম্বর এ রুল শুনানি শেষ হয়।
এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই মামলাটি বাতিলের রুলনিশি জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও আসামিদের জামিন দেন। যে কারণে দীর্ঘ ১০ বছর মামলাটির ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ কার্যক্রম বন্ধ আছে।
তিনি আরও জানান, অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রা. কোম্পানি লিমিটেডকে বেআইনি/দুর্নীতি/ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজটি পাইয়ে দিয়ে নিজ এবং অন্যদের মূল্যবান লাভ/আর্থিক সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে সরকারের এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় খালেদা জিয়া, আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক নৌ পরিবহন মন্রী আকবর হোসেন, তার ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন, সৈয়দ গালিব আহমেদ, সৈয়দ তানভীর আহমেদসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
পরে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিন মামলাটিতে স্থগিতাদেশ থাকায় বিশেষ আদালতে চার্জ শুনানি করাও সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ইএস/আরআর