আসামিদের মধ্যে রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিককে ফাঁসি ও রুবেল, সজিব ও আমিনুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শরিফুল ইসলাম নামে আরেক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহিদলু আলম ঝিনুক এ রায় দেন। জহিরুল ইসলাম জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাশেরচর এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
নিহত জহিরুল ইসলামের বাবা মামলার বাদী খোকন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, জহিরুল ইসলাম অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে জহিরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধুরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও ওইদিন তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর বাস্তা এলাকার সুলতান নামের একজনের বাড়ির পাশের একটি ময়লার ট্যাংকির ভেতর থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় জহিরুলের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় আটজনের নামোল্লেখ করে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এরমধ্য থেকে আদালাত চারজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় একজনকে খালাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মথুর নাথ সরকার। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শহীদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
কেএসএইচ/ওএইচ/