মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এ রায় দেন।
হত্যার শিকার আলিমের নেছা ওই গ্রামের মো. সাহাজ উদ্দিনের স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে মায়ের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন সফিকুর। শব্দ শুনে কিছুক্ষণ পর সাহাজ উদ্দিন ঘরে গিয়ে তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে আলিমের নেছাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওইদিনই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন সাহাজ উদ্দিন। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছেলে সফিকুরকে আটক করা হয়। একপর্যায়ে তিনি মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার তাৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির একই বছরের ৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন বিচারক।
সরকার পক্ষের আরেক আইনজীবী ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোক্তার আহমেদ অভি। আসামি পক্ষে ছিলেন মো. কামরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৮
এসআই