ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সুগন্ধা-ইনানীতে স্থাপনা নির্মাণে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
সুগন্ধা-ইনানীতে স্থাপনা নির্মাণে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা হাইকোর্ট/ফাইল ফটো

ঢাকা: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইনানী বিচ ও সুগন্ধা পয়েন্টের পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ কাজের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
 
আদালতে গত মাসে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়।


 
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
 
আদেশের পরে তিনি জানান, গত ১৩ জুন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এক সভায় কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এসব পয়েন্টে রাত্রিকালীন বাজার ও মার্কেট নির্মাণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে কক্সবাজারের সংকটাপন্ন এলাকাগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে বলা আছে।
 
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে রিট করা হয়। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত স্থিতাবস্থাসহ রুল জারি করেন।
 
রুলে ১৩ জুন কক্সবাজারের বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
 
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিচ ম্যানেজেমেন্ট কমিটির চেয়ারপারসন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (চট্টগ্রাম বিভাগ), কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (পর্যটন ও প্রটোকল) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কক্সবাজার), কক্সবাজারের সহকারী কমিশনারকে (পর্যটন ও প্রটোকল) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।