বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল খারিজ করে রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন। এখন মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।
২০১২ সালেল ২০ জুন হাইকোর্ট আসামিদের বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে এক ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আহসান হাবিব কামাল বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ৩ জুনের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে বরিশাল পৌরসভার অধীন টেলিফোন ক্যাবল স্থাপন করার কাজে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত বাবৎ, কোনোরূপ দরপত্র আহবান না করে, কোন ঠিকাদার নিয়োগ না করে, কোন ব্যক্তি/ ফার্মকে কার্যাদেশ না দিয়ে সরকারের ২৭,৫০,৬২৯/= ( সাতাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ছয়শত উনত্রিশ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন অফিসার মো. আবদুস বাছেত ৭ জনকে আসামি করে বরিশাল কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৩)। ৭ জন আসামির অন্যরা হলেন তৎকালীন বরিশাল পৌরসভার কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসহাক, মো.সিদ্দিকুর রহমান, খান মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, মো. আবদুস সাত্তার, মো. লুৎফর রহমান ও মো. জাকির হোসেন।
এ সাতজনের মধ্যে আহসান হাবিব কামাল, মোহাম্মদ ইসহাক, খান মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মো. আবদুস সাত্তার ও মো. জাকির হোসেনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ