জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ল’ রিপোটার্স ফোরামের সদস্য এম. বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না; কলড্রপ, অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষুদে বার্তা, বর্ধিত কলরেট, ট্যারিফ চার্জ না বাড়াতে এবং ঘোষিত ফোরজি সেবা নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া বিদ্যমান কলরেট পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সচিব, সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত রুলসহ মোবাইল কলচার্জ বৃদ্ধি ও কলড্রপে চার্জ কাটায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন এবং আদালত প্রত্যেক বিবাদীকে নিয়মিতভাবে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। ’
রিট আবেদনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে ২২২ কোটি বার কলড্রপ করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
২০১৪ সালে কয়েকটি অপারেটর কলড্রপের বিপরীতে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু করে। এ নিয়ে তারা প্রচারও চালায়। কিন্তু কিছুদিন পর কোনো ঘোষণা ছাড়াই ক্ষতিপূরণ বন্ধ করে দেয় অপারেটরগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
ইএস/এইচএ/