ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কারাবন্দি সেই আরমান সংশ্লিষ্ট মামলার নথি তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
কারাবন্দি সেই আরমান সংশ্লিষ্ট মামলার নথি তলব ৩ বছর ধরে কারাগারে থাকা আরমান/ফাইল ছবি

ঢাকা: মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন বিহারির পরিবর্তে আসামি হিসেবে ৩ বছর ধরে কারাগারে থাকা আরমানের (৩৬) সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র তলব করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর দায়রা জজকে হাইকোর্টে নথি দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে আগমী ৬ মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি  জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে মোতহার হোসেন সাজু ও হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, নথি তলবের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন। রুলে আরমানকে আটক রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাকে কেন মুক্তি দেওয়া হবে না, তাকে হাইকোর্টে হাজির করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

১০ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকার পুলিশ সুপার, পল্লবী থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২৬ মামলার ভুল আসামি পাটকল শ্রমিক জাহালম প্রায় ৩ বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের নজরে আনার পর মুক্তি পান। একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১৮ এপ্রিল এ রকম আরেক জাহালমের ঘটনা প্রকাশিত হয়। মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শাহাবুদ্দিন বিহারির পরিবর্তে আসামি হিসেবে ৩ বছর ধরে কারাগারে ‘নির্দোষ’ আরমান (৩৬)।  
প্রকাশিত এ প্রতিবেদন যুক্ত করে একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে রোববার হাইকোর্টে রিটটি করে ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমান নির্দোষ হয়েও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গত ৩ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। রাজধানীর পল্লবী থানার একটি মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারি এ মামলার প্রকৃত আসামি। কিন্তু ওই পরিচয়ে, তার পরিবর্তে সাজাভোগ করছেন আরমান।

শুধু বাবার নামে মিল থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে শাহাবুদ্দিন নামে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে জোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। অন্যদিকে, প্রকৃত আসামি শাহাবুদ্দিন কারাগারের বাইরে দিব্যি মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ: ১৭২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।