ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পার্থ গোপালের মামলার তদন্তের অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
পার্থ গোপালের মামলার তদন্তের অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা: রাজধানীর নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় সিলেটের সাময়িক বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিকের দুর্নীতির মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে হবে। এছাড়া পার্থ গোপালের জামিন আবেদন শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও কামরুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আজকে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। আদালত এই মামলার তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ৩০ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা এটা জানাবেন। আর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।

এর আগে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন রাজধানীর নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের দুর্নীতির মামলায় সিলেটের সাময়িক বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পার্থ গোপালের জামিন নামঞ্জুর করেন।

আর আগে গত ২৮ জুলাই বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করে দুদক। তারও আগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফের নেতৃত্বে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পার্থ গোপাল বণিককে।

ওইদিন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা তার বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয় এবং তাকে নিয়ে আসা হয়। পরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।

পরে ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতারের দিন থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।