ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শ্বশুরের মামলায় সাফায়াতের স্ত্রী পিয়াসার জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
শ্বশুরের মামলায় সাফায়াতের স্ত্রী পিয়াসার জামিন

ঢাকা: চাঁদা দাবির অভিযোগে শ্বশুর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তার ছেলে সাফায়াত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলার আসামি সাফায়াতের স্ত্রী পিয়াসার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম ও সানাউল ইসলাম টিপু।

চলতি বছর ৫ মার্চ পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দিলদার আহমেদ। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ১ আগস্ট গুলশান থানার পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পিয়াসাকে ১১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে সমন দেন। সেই অনুযায়ী বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান তিনি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পিয়াসা ফাঁদে ফেলে সাফাত আহমেদকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উশৃঙ্খল চলাফেরা ও জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। পরে সাফায়াত আহমেদ ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন।

সাফায়াত রেইনট্রির ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৯ নভেম্বর জামিন পান। সাফায়াত জামিন পাওয়ার পর পিয়াসা বাড়িতে যায় এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করে। দিলদার আহমেদ পিয়াসা ও তার বন্ধুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পিয়াসা তাতে অস্বীকৃতি জানান। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পিয়াসা সাফায়াতের ছোট ভাই ও মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ দেখে বাদী বাধা দেন।

পরে পিয়াসা দিলদার আহমেদ ও তার পরিবারের লোকজনের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং ৫ কোটি টাকা দাবি করে।

এদিকে গত ১১ মার্চ পিয়াসা একই আদালতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির একটি মামলা দায়ের করেন। গত ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত ৩০ অক্টোবর বাদী পিয়াসা ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।