ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সরকারি চাকরিজীবীদের বরখাস্ত সংক্রান্ত আইনের ধারা নিয়ে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
সরকারি চাকরিজীবীদের বরখাস্ত সংক্রান্ত আইনের ধারা নিয়ে রুল

ঢাকা: কারণ দর্শাণোর নোটিশ ছাড়াই সরকারি চাকরিজীবীদের সাময়িক বরখাস্ত করা সংক্রান্ত আইন সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮’র ৩৯(১) ধারা কেন অবৈধ, সংবিধান পরিপন্থি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কুড়িগ্রাম সার্কেলের উচ্চমান সহকারী মো. রফিকুল ইসলামের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ রুল জারি করেন।

৪ সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, রংপুর কর অঞ্চলের কর কমিশনারসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মো. রাজু মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এনবিআরের উচ্চমান সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম পঞ্চগড়ে থাকাকালে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওঠায় গত ১৫ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এই বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জসহ বরখাস্তের বিষয় আইনের ৩৯(১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন রফিকুল ইসলাম।

পরে রাজু মিয়া বলেন, যেখানে জনস্বার্থ জড়িত সেখানে সাসপেন্ড করা উচিত। কিন্তু এই আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এমন কোনো কিছু আসে না। সাসপেনশন লেটারেও এমন কিছু নেই যে, আপনাকে বরখাস্ত করা অপরিহার্য। এজন্য এক সপ্তাহের শোকজ দিতে পারতো। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার ‌সাময়িক বরখাস্তের আগে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া উচিত। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু সেই সুযোগ না দেওয়া সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৩৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রস্তাব বা বিভাগীয় কার্যধারা রুজু করা হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগের মাত্রা ও প্রকৃতি, অভিযুক্ত কর্মচারীকে তাহার দায়িত্ব হইতে বিরত রাখিবার আবশ্যকতা, তৎকর্তৃক তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা, ইত্যাদি বিবেচনা করিয়া তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবে।

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অধিকতর সমীচীন মনে করিলে, এইরূপ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করিবার পরিবর্তে, লিখিত আদেশ দ্বারা, তাহার ছুটির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, উক্ত আদেশে উল্লিখিত তারিখ হইতে ছুটিতে গমনের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।