ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চীনা নাগরিক হত্যায় দুই নিরাপত্তাকর্মীর স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
চীনা নাগরিক হত্যায় দুই নিরাপত্তাকর্মীর স্বীকারোক্তি

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে চীনা নাগরিক গাউজিয়ান হুইকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রিমান্ডে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক দুজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামড়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া দুজন হলেন- গাউজিয়ান হুই যে ভবনে থাকতেন তার দুই নিরাপত্তারক্ষী আব্দুর রউফ (২৬) ও এনামুল হক (২৭)।

এর মধ্যে আব্দুর রউফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এবং এনামুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম। এরপর তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারকরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে জানা গেছে, গাউজিয়ান হুইকে টাকার লোভে দুজন মিলে হত্যা করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন। জবানবন্দিতে তারা আরো বলেন, নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে তারা বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর ভবনে কাজ করতেন। তারা দেখতে পেতেন গাও হাত ব্যাগ থেকে তার গাড়িচালকসহ বিভিন্ন লোককে অনেক সময় টাকা দিতেন। তার ব্যাগে অনেক টাকা থাকতো। এই দুই নিরাপত্তাকর্মী ছয় হাজার ২০০ টাকা করে মাসিক বেতন পেতেন।

স্বীকারোক্তিতে তারা বলেন, এই সামান্য টাকায় দিন চলতো কষ্ট করে। তাই গাউয়ের ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে তাকে গলাটিপে ও গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে বাড়ির পাশে নিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখি। পরে মাটি চাপা দেওয়া সেই মরদেহের পায়ের তালু দেখতে পান গাউয়ের গাড়িচালক। যা দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ সেই মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর গুলশান এলাকা থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর এই দুজনকে চার দি‌নের রিমা‌ন্ডে পাঠান আদালত।

গত ১১ ডি‌সেম্বর বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮২ নম্বর ভবনের পাশ থেকে গাউজিয়ান হুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভবনের পাশের ফাঁকা জায়গায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল তার মরদেহ।

৪৭ বছর বয়সী গাউজিয়ান হুই দশতলা ওই ভবনের ষষ্ঠতলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকতেন। গাউজিয়ান হুই মূলত একজন পাথর ব্যবসায়ী। পায়রা বন্দর ও পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজে পাথর সরবরাহের কাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

গাউজিয়ান হুইর মরদেহ উদ্ধারের পর তার বন্ধু জাঙ শান-হং ১১ ডিসেম্বর রাতে বনানী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডি‌সেম্বর ২৪, ২০১৯
কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।