১১টি সংগঠনের করা সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৬ জানুয়ারি) রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমদ কবির।
একইসঙ্গে পলিথিন ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে বিদ্যমান আইনগত নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকরের জন্য সরকারকে বাজার মনিটরিং, পলিথিন উৎপাদনকারী যন্ত্রপাতি জব্দ ও কারখানা বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ানটাইম) প্লাস্টিকপণ্যের বিপরীতে নিরাপদ বিকল্প কি হতে পারে সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার প্রধান নিবার্হী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, পরিবেশ, শিল্প, বাণিজ্য, পানিসম্পদ, বেসামরিক ও পর্যটন, বস্ত্র ও পাট সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদক ও রাপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সামগ্রীর দৌরাত্ম্য মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। এগুলো আমাদের ভূমির উর্বরতা কমাচ্ছে, বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে এবং সমুদ্রের জলজ উদ্ভিদ আছে, সেই প্রতিবেশ ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে ফেলছে। ফলে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার কমাতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে বিবাদীদের আদেশ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। এছাড়া ১০ জানুয়ারি ফের আবেদনটি কার্যতালিকায় আসবে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলাসহ ১১টি সংগঠন এ রিট আবেদনটি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
ইএস/এএ