সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা।
জামিন নেওয়া বিমানের ১০ কর্মকর্তা হলেন- সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার (কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজিব হাসান (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন তালুকদার (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে কার্গো আমদানি শাখা), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমদ পাটোয়ারি (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে পিআরএল), সাবেক ব্যবস্থাপক এ কে এম মঞ্জুরুল হক (আমদানি, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান (বাণিজ্যিক, কার্গো শাখা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।
জামিনপ্রাপ্ত বিমানের এই ১০ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান।
শুনানিতে তিনি বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিলম্বিত এজাহার মামলার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই মামলার দুই আসামি গত ১৭ ডিসেম্বর এই আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আসামিরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। যেকোনো শর্তে দেওয়া হলে তারা পলাতক হবেন না।
অন্যদিকে দুদকের পক্ষে সংস্থাটির কৌশলী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ গ্রেফতার দু’জনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী আহসান ও সাবেক ব্যবস্থাপক ইফতেখার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে দুদক। পরে তারা ১৭ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো শাখায় দায়িত্ব পালনকালে পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কার্গো ও মেইল হ্যান্ডলিং চার্জের ১১৮ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৮ টাকা আদায় না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই দফায় জামিনপ্রাপ্ত ১২ জন ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) মো. আরিফ উল্লাহ, সৌদি আরবের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, সৌদি আরবের রিয়াদের রিজিওনাল ম্যানেজার আমিনুল হক ভূঁইয়া ও সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) অনুপ কুমার বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
কেআই/আরবি/