মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
গত বছরের ২৯ মে দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রমনা মডেল থানায় কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কামরুজ্জামান ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি ৩০ লাখ ৪২ হাজার ১১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অন্যদিকে তার স্ত্রী নাছিমা জামানের ২ কোটি ৪ লাখ ৪ হাজার ১২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন তিনি।
এ মামলায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরুর মাধ্যমে মঙ্গলবার দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান কামরুজ্জামান দম্পতি। দুদকের পক্ষে মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
কামরুজ্জামান ১৯৮০ সালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে যোগ দেন। ২০১৬ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করেন। একই বছরে তিনি অবসরে যান। তার স্ত্রী নাসিমা জামান একজন গৃহিণী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
কেআই/এমএ