ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

ঢাকা: ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত স্থান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষকে এ তথ্য জানাতে হবে।

আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিন রেখেছেন।

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান চিহ্নিত এবং সেখানে বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচানো স্ট্যাচু নির্মাণের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৭ সালে এ রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ।

এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২০ নভেম্বর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেছিলেন।

ওই রুল শুনানির জন্য আবেদনটি সম্প্রতি উপস্থাপন করেন ড. বশির আহমেদ।

আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

আদালত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে আসা উচিত। এখনকার প্রজন্মতো জানে না, তাই নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি বাজিয়ে শোনানো উচিত।

আদালত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শিশু পার্কটি না সরানোয় উষ্মা প্রকাশ করেন।

২০১৭ সালে জারি করা রুলে হাইকোর্ট ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে স্থানে যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে সেই স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ এবং বক্তব্যরত বঙ্গবন্ধুর আঙুল উঁচানো স্ট্যাচু কেন নির্মাণ করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।