বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল।
এদিন আদালতে অব্যাহতির আবেদেনে আসামি আবদুর রউফের পক্ষে তার আইনজীবী জসীমউদ্দিন বলেন, আটকের এক মাস পরে তাকে আটক দেখানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির সব আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের দাবি জানান।
পরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আদেশের জন্য আগামী ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এই মামলায় পলাতক এক আসামিকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিনই সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩), হাদিসুর রহমান সাগর (৪০) ও আজাদুল কবিরাজ।
এর মধ্যে আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর এবং আব্দুর রউফ প্রধান জামিনে আছেন। আর আজাদুল কবির পলাতক রয়েছেন। হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির ৬ জন এই মামলায়ও আসামি।
এর আগে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির জানিয়েছিলেন, পলাতক আসামি জাহিদুল কবিরাজের বিরুদ্ধে আগে ক্রোকী পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি অথবা তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই গত ৩ ডিসেম্বর আদালত পলাতক আসামিকে হাজির হতে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী গত ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকায় জারি করা বিজ্ঞপ্তি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগ গঠনের আগে সেই পলাতক আসামি আত্মসমর্পণ না করলে অথবা তাকে গ্রেপ্তার করা না গেলে তার অনুপস্থিতিতেই এই মামলার বিচার শুরু হবে।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২০১৯ সালের ৯ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
জাহাজ বাড়িতে অভিযানে নিহত ৯ জন এবং নারায়ণগঞ্জে নিহত তামিম চৌধুরী ও আশুলিয়ায় নিহত সরোয়ার জাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে জাহাজ বাড়িতে রাতভর অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকালে এক ঘণ্টার মূল অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হন। আহত হন রিগ্যান নামে আরও একজন।
অভিযানের দুদিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০
কেআই/ওএইচ/