রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে এ নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্যসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, আইসিসিডিআর,বি এর পরিচালক এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে চীনে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার বেশ কয়েকদিন পর এক-দু’জন করে মারা যাওয়ার খবর এলেও এখন প্রতিদিন তা শয়ের কোটার দিকে যাচ্ছে। মূলত জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে মৃত্যুর সংখ্যা যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।
সবশেষ শনিবারের (৮ ফেব্রুয়ারি) তথ্যানুযায়ী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এদিন ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত কোনো একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। আগের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি ৭৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ৭৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ৬৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ৬৪, ২ ফেব্রুয়ারি ৫৭, ১ ফেব্রুয়ারি ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।
ফেব্রুয়ারির এ পরিসংখ্যানের আগে গত মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি ৪৬ জন, ৩০ জানুয়ারি ৪৩, ২৯ জানুয়ারি ৩৮, ২৮ জানুয়ারি ২৬, ২৭ জানুয়ারি ২৬, ২৬ জানুয়ারি ২৪, ২৫ জানুয়ারি ১৫, ২৪ জানুয়ারি ১৬ ও ২৩ জানুয়ারি ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনা কর্তৃপক্ষ এ ভাইরাসে মোট ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য লিপিবদ্ধ করেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছে চীন। এখন থেকে এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনা ভাইরাস নিউমোনিয়া’ বা এনসিপি নামে ডাকা হবে।
দেশটির হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে যাওয়া এই ভাইরাসকে অনেকেই শহরটির নামে ডাকা শুরু করেছেন। যা শহরটির বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নাম ঘোষণা করা হয়। ভাইরাসের নাম পরিবর্তনের কারণ জানানো হয়।
একইসঙ্গে বলা হয়, সাময়িক এ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১১-তে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৮১৩ জনের (ফিলিপাইন ও হংকংয়ে দু’জন) মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
২০১৯ সালের শেষ দিকে এসে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের বাইরেও ২৫টির বেশি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন সাড়ে তিনশ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
ইএস/এএ