রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। এদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ দেওয়ার পরও তা দাখিল না করায় ইশরাকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়। মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি বিচারক শেখ নাজমুল আলম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে, বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ জমা দিতে বলেন। তবে নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালের আগস্টে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করেন সংস্থাটির তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম।
নির্দিষ্ট তারিখে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) (ক) ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় ইশরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
কেআই/জেডএস