রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এই মামলায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে তারা এ দাবি করেন।
এরপর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন রেখেছেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু এবং পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদ। আসামিদের মধ্যে এসআই জাহিদ ও সুমন কারাগারে থাকলেও বাকিরা জামিনে আছেন।
মামলার আর্জি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১ নম্বর সেক্টরে স্থানীয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এসময় জনি ও তার ভাই সুমনকে সেখান থেকে চলে যেতে বললে তিনি পুলিশকে ফোন দেন। পুলিশ এসে জনিকে আটক করে। এসময় স্থানীয়রা পুলিশকে ধাওয়া দিলে তারা গুলি ছোড়ে।
আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে জনির অবস্থার অবনতি হয়। এসময় তাকে প্রথমে ন্যাশনাল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনির মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওসি জিয়াউর রহমানসহ পাঁচজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে প্রতিবেদনে নতুনভাবে অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। প্রায় চার বছরে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলাটির সাক্ষ্য শেষ হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
কেআই/এএ