রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন। জাকির ওই এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
এর আগে বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুর রহমান।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জাকিরসহ এজাহার নামীয় তার সহযোগী শাকিল, শান্ত ও হানিফ নারী লোভী প্রকৃতির। তাদের স্বভাব-চরিত্র খারাপ বলে জানা য়ায়। অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় ও মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ড প্রয়োজন।
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ বি এম জাহিদুল কবীর রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই কিশোরী যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় একটি কারখানায় চাকরি করে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে সে তার বোনের মেয়ে ও এক ছেলেসহ বের হয়। বাসার কাছাকাছি পৌঁছামাত্র আসামিরা তার গতিরোধ করে এবং ওড়না ধরে টান দেয়। তার সঙ্গে থাকা দু’জন এতে বাধা দিলে আসামিরা তাদের এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মেরে জখম করে এবং অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখিয়ে তাদের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে।
এরপর আসামিরা কিশোরীর মুখ চেপে ধরে যাত্রাবাড়ী থানার সামাদনগরে কবরস্থান রোডের জেলারের বাড়ির নিচতলায় পরিত্যক্ত রুমে নিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৮ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী যাত্রাবাড়ী থানায় জাকিরসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
কেআই/আরবি/