রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নাছিম, আব্দুল মালেক, জয়নাল আবেদীন, ইকবাল হোসেন, জোহরা হক, ইয়াছিন, আবুল হাসেম, দুলাল ড্রাইভার ও সেলিম।
গ্রেফতার থাকা একমাত্র আসামি নাছিমের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত। তিনি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত কামাল পাশা ওরফে দিপুর সঙ্গে আসামিদের ডিশ ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এছাড়াও মামলার ভিকটিম মিরপুরের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় তাদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করেন দিপু। ব্যক্তিগত এসব দ্বন্দ্ব থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দিপুকে ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি মিরপুরের মাজার রোডে চাকু মেরে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বাবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক হিসাবরক্ষক দেওয়ান আব্দুর রহমান বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০৫ সালের ১৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩। মামলায় ১৫ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে নয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
কেআই/এফএম