বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ২৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশিত হয়।
রায়ে আদালত বলেছেন, যেসব খেলার ফলাফল দক্ষতার বদলে ‘চান্স’ বা ভাগ্য দিয়ে নির্ধারিত হয়, সেগুলোই জুয়া খেলা।
ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলার বিরুদ্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুননির পর ১০ ফেব্রুয়ারি রায় দেন আদালত।
২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবকে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়েছে।
রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন।
ক্লাবগুলো-ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।
হাইকোর্টের রায়ের পর ওই রায় স্থগিত চেয়ে ঢাকা ক্লাব ও গুলশান ক্লাব আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০
ইএস/এএটি