ওই মামলার সাক্ষীর জেরা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ৩২ বছর আগের এ মামলায় ১৯ বছর আগের দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে রুল খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
ঘটনার বিবরণী থেকে উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তিকে ধানী জমি দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ প্রাক্কলন তৈরি করে আসামিরা বিভিন্নজনের নামে জাল রেকর্ড তৈরি এবং জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা মো. আলী আকবর বাদী হয়ে ১৯৮৮ সনের ১৪ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানার মামলা দায়ের করেন।
পরে একজন আসামি জীবন নগর ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দিন সরদার সাক্ষীকে জেরা করতে না পারার কারণ দেখিয়ে ২০০১ সালের ৩০ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আবেদন করেন। সেই আবেদন নামঞ্জুরের পর হাইকোর্টে রিভিশন করেন তিনি।
হাইকোর্ট রিভিশনের শুনানি নিয়ে একই সালের ১২ নভেম্বর মামলাটিতে ৪ সপ্তাহের রুল ও তিন মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর কেটে গেল ১৯ বছর। অবশেষে রোববার শুনানি শেষে আদালত রুল খারিজ করে দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
ইএস/এমএ